প্রবীর রায়::
অমুকের মেয়েটা নাকি গোল্ডেন এ পেল
না, ভালো লাগল না আমার
কিন্তু অমুকের মেয়েটা নাকি পালিয়ে গেছে
আমি বেজায় খুশি।
অমুকের ছেলেটার নাকি বিয়ে হলো
মেয়েটা নাকি খুব সুন্দর
ধুর, মেয়েটার কপাল পুড়ল।
ছেলেটা তো বাজে।
আচ্ছা, অমুক নাকি সুন্দর বাড়ি করল,
করবেই তো। ঘুষের টাকা। এ রকম করাই যায়।
অমুক নাকি নির্বাচনে দাড়িয়েছে, লোকটি নাকি ভালো।
ধুর, ভালো! ছাই।
সে তো ভাটিয়া।
মানে তার পিতৃপুরুষ পঞ্চাশ বছর আগে এসেছে নোয়াখালী থেকে।
কিন্তু কমলা হ্যারিস, ভারতীয় জিন
সে ভাইস প্রেসিডেন্ট হলো মার্কিন মুল্লুকের
তাহলে সেটি কি?
না না বাপু, এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে বিব্রত হই।
ওমুক পলিটিশিয়ান খুব খারাপ
একবার ছেলের চাকুরীর জন্য গিযেছিলাম, কাজ হয়নি
অথচ দিবানিশি সুশাসনের কথা বলি।
অমুক নেতাগীরি করে?
ক’জনে দান দক্ষিণা করে?
অথচ আমি নিজে চার আনা কাউকে দিই না।
সোহরাওয়ার্দি ময়দানে যাই না বোটানিকেল গার্ডেনেও না
ছেলেমেয়েরা নষ্টামি করে শেষ করল
যেন প্রেমলীলার পূণ্য ভূমি।
অথচ ঐ বয়সে কত যে চিটি লিখে কত জনের পিছনে ঘুরেছি
তার ইয়াত্তা নেই।
কপোত কপোতি দেখে কত আফসোস হতো
বুকের উপর ঢেকির পার পড়ত
বেমালুম ভুলে গেছি।
আচ্ছা, শীত গেল, ঋতুরাজ বসন্ত এলো
ধুর ছাই। অনর্থক কবিগুরু বাড়িয়ে বলেছেন।
বাতাসে ধুলি, রুক্ষ্ম প্রকৃতি, গাছের ঝড়া পাতা
বসন্ত! ঋতু হলো না কি, কবিদের যত রাবিস কল্পনা।
আচ্ছা, সরকার নাকি ভূমিহীনদের পাকা বাসগৃহ নির্মান করে দিলেন
আমি ঢাবির আইন বিভাগের এক শিক্ষকের কণ্ঠে তখন উচ্চারণ করি,
শিক্ষক ছাত্র পড়াবে, ডাক্তার চিকিৎসা দেবে এতে ধন্যবাদের কি আছে?
বরং দুর্নিতি হলো কি না, এটাই দেখার বিষয়।।